ঢাকা,সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪

কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহালদশা, বৃষ্টি হলেই গড়িয়ে পড়ে পানি

নিজস্ব প্রতিবেদক, চকরিয়া ::   চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের বেহালদশা চলছে। ৩৫বছর আগের বিদ্যালয়ের পুরাতন সেমিপাকা ভবনের চালার টিন গুলো বর্তমানে মরিচাধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সম্প্রতি কালবৈশাখী ঝড়ে চালার উপরের অংশের বেশিরভাগ টিন উড়ে গেছে। ফলে একটুখানি বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ভেতরে গড়িয়ে পড়ছে পানি। এ অবস্থার কারণে বর্তমানে বিদ্যালয়ের অন্তত তিনশতাধিক কোমলমতি শিক্ষার্থীর লেখাপড়ায় চরম বিঘœ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

জানা গেছে, ১৯৭৩ সালে বাঁেশর বেড়া ও টিনের চালা দিয়ে প্রতিষ্ঠিত চকরিয়া পৌরসভার এক নম্বর ওয়ার্ডের কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি পুন:মেরামত করা হয় ১৯৮৪ সালে। ওইসময় বিদ্যালয়ের পুরাতন ভবনটির একটু আধুনিকায়ন করে বাঁেশর বেড়ার পরিবর্তে সেমিপাকা করা হয়। সেই ৮৪ সাল থেকে অদ্যবদি বিদ্যালয়টির আর কোন ধরণের সংস্কার হয়নি। এ অবস্থার কারনে বর্তমানে ৩৫বছর আগে লাগানো বিদ্যালয়ের পুরাতন সেমিপাকা ভবনের বেশিরভাগ চালার টিন মরিচাধরে নষ্ট হয়ে গেছে।

এদিকে পুরাতন সেমিপাকা ভবনের চালার টিন গুলো এমনিতে নষ্ট হয়ে গেছে। তারপর গত ফেব্রুয়ারী মাসের ২৫ তারিখ হঠাৎ কালবৈশাখী ঝড়ে চালার উপরের অংশের টিন গুলো উড়ে গেছে। এ অবস্থার ফলে বর্তমানে একটুখানি বৃষ্টি হলেই বিদ্যালয়ের ভেতরে গড়িয়ে পড়ছে বৃষ্টির পানি। এতে লেখাপড়ায় চরম দুর্ভোগের শিকার হচ্ছেন বিদ্যালয়ের কোমলমতি শিক্ষার্থীরা।

বিদ্যালয় ব্যবস্থাপনা কমিটির বর্তমান সভাপতি সাংবাদিক এম. জিয়াবুল হক বলেন, বর্তমানে কাজিরপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়টি অবকাঠামোগত সংকটে রয়েছে। বিদ্যালয়ে দুইটি ভবন থাকলেও বর্তমানে সেমিপাকা ভবনটি অকার্যকর অবস্থা বিরাজ করছে। ৩৫বছর আগের চালার টিন গুলো মরিচাধরে নষ্ট হয়ে গেছে। সম্প্রতি সময়ে কালবৈশাখী তান্ডবে চালার উপরের অংশের বেশিরভাগ টিন উড়ে গেছে। এখন একটু বৃষ্টি হলেই পানিতে নিমজ্জিত হচ্ছে বিদ্যালয়ের ভেতরের অংশ। এতে শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় চরম বিঘœ সৃষ্টির আশঙ্কা দেখা দিয়েছে।

তিনি বলেন, বিদ্যালয়ের এমন বেহালদশা থেকে উত্তোরণে ইতোমধ্যে চকরিয়া-পেকুয়া আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ জাফর আলমের কাছে ১০ বান ঢেউটিন বরাদ্দ চেয়ে আবেদনপত্র জমা দেয়া হয়েছে। এমপি মহোদয় আবেদনের আলোকে ব্যবস্থা গ্রহনের জন্য চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তাকে সুপারিশ করেছেন।

উপজেলা পিআইও বিভাগ সুত্রে জানা গেছে, এমপির সুপারিশের প্রেক্ষিতে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিষয়টির আলোকে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তাকে (পিআইও) নির্দেশ দিয়েছেন। এরই আলোকে কয়েকদিন আগে চকরিয়া উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মো.মাসুদুর রহমান সরেজমিনে বিদ্যালয়টি পরিদর্শন করেছেন। পরিদর্শনে তিনি বিদ্যালয়ের বেহালদশার সত্যতাও পেয়েছেন।

জানতে চাইলে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দিন মুহাম্মদ শিবলী নোমান বলেন, পিআইও সরেজমিনে বিদ্যালয়টির অবস্থা পরিদর্শন করে থাকলে তাঁর কাছ থেকে বিষয়টি সম্পর্কে অবহিত হবো। তারপর শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ায় যাতে কোন ধরণের ব্যাঘাত না ঘটে সেইজন্য আবেদনের আলোকে অবশ্যই মেরামতের জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণ ঢেউটিন বরাদ্দ দেয়া হবে। #

পাঠকের মতামত: